What to do if you have a fever? জ্বর হচ্ছে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটি উপসর্গ, যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো সংক্রমণের ফলে হতে পারে। জ্বর আসলে দ্রুত ও সঠিক প্রতিকার না নিলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই নিচের ধাপে ধাপে নির্দেশিকা অনুযায়ী আপনি আপনার ও পরিবার এর যত্ন নিতে পারেন।
Table of Contents
শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন
- একটি ডিজিটাল বা পারদ থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা মাপুন।
- ১০০.৪°F (৩৮°C) বা তার বেশি হলে জ্বর আছে বলে ধরা হয়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
- শরীরকে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন।
- যথাযথ বিশ্রাম নিতে না পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
প্রচুর পানি ও তরল পান করুন
- জ্বরের কারণে শরীরের পানি দ্রুত হ্রাস পায়; পানিশূন্যতা এড়াতে বেশি পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, ওআরএস, লেবুর শরবত বা ফলের রস পান করুন।
- পানি ছাড়াও, হালকা স্যুপ বা তরল খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে।
হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান
- জ্বরের সময় ভারী, তেল-মসলাযুক্ত খাবারের পরিবর্তে হালকা খাবার যেমন খিচুড়ি, ডাল-ভাত, সবজি স্যুপ অথবা মুরগির ঝোল খাওয়া উত্তম।
- সহজ খাবারের মাধ্যমে পেটের উপর চাপ কম পড়ে এবং পাচনতন্ত্রে সহায়ক প্রভাব পড়ে।
ওষুধ সেবন করুন
- সাধারণভাবে জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রায় ৫০০ mg – ১ g, প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর সেবন করা যেতে পারে।
- তবে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ওষুধের অতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
শরীর মুছিয়ে দিন (Sponging Method)
- কুসুম গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় ব্যবহার করে শরীর, বিশেষ করে মাথা, ঘাড়, বগল ও কপালের অংশগুলো মুছুন।
- এতে শরীরের অতিরিক্ত তাপ কিছুটা কমে যেতে সহায়তা করে।
Read More:
নিয়মিত তাপমাত্রা চেক করুন
- প্রতিদিন ২-৩ বার তাপমাত্রা পরিমাপ করুন।
- যদি তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বা অব্যাহত থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
ঘরোয়া প্রতিকার ও সহায়ক পদ্ধতি
- তুলসী পাতা ও আদা চা: এন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ বিরোধী গুণে ভরপুর, যা উপকারে আসতে পারে।
- মধু ও লেবু পানি: শরীরকে শীতল করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- তেজপাতা বা ধনে ভেজানো পানি: হালকা জ্বরে শরীরের উপসর্গ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
⚠️ কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
- ৩ দিন বা ততোধিক সময় ধরে জ্বর থাকলে।
- জ্বরের সাথে র্যাশ, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট, গা ব্যথা বা অজ্ঞান হওয়ার লক্ষণ থাকলে।
- শিশু, বয়স্ক বা গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
- ডেঙ্গু, টাইফয়েড, করোনা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার সন্দেহ হলে।
🚫 জ্বরের সময় যা করা উচিত নয়:
- নিজের থেকেই এন্টিবায়োটিক বা অনেক ওষুধ একসাথে গ্রহণ করা।
- ঠাণ্ডা পানিতে গোসল বা শরীর দৌড়ঝাঁপ করা।
- ভারী, তেল-মসলাযুক্ত বা দুধজাত খাবার খাওয়া।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা বাড়ানো বা কমানো।
Conclusion:
জ্বর আসলে প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সহায়ক পুষ্টি প্রদান করা। ঘরোয়া প্রতিকার ও সাধারণ ওষুধের মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্বর কমে যায়। তবে, উপসর্গ বাড়লে এবং নতুন কোনো লক্ষণ দেখা দিলে, অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই ধাপে ধাপে গাইডলাইন অনুসরণ করে আপনি এবং আপনার পরিবার নিরাপদে রয়ে উঠতে পারবেন।
What to do if you have a fever? সহজ বাংলা গাইড | করণীয়, ওষুধ, ঘরোয়া উপায়সহ
জ্বর আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বা অন্যান্য সংক্রমণের কারণে হতে পারে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই – সঠিক পদক্ষেপ নিলে খুব সহজেই জ্বর ভালো হয়ে যায়।
🔍 জ্বরের কারণসমূহ
- ভাইরাল ফিভার (সাধারণ ফ্লু)
- ঠান্ডা-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা
- ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড
- করোনাভাইরাস বা অন্যান্য সংক্রমণ
- শিশুদের দাঁত উঠা বা টীকা দেওয়ার পরও জ্বর হতে পারে

✅ জ্বর হলে করণীয় – ধাপে ধাপে গাইড
১. শরীরের তাপমাত্রা মাপুন
ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা মেপে নিন। যদি ১০০.৪°F বা তার বেশি হয়, তবে সেটা জ্বর।
২. প্যারাসিটামল সেবন করুন
সাধারণ ভাইরাল জ্বরে প্রথম পদক্ষেপ:
সেফ ওষুধ:
- বড়দের জন্য: প্যারাসিটামল ৫০০–৬৫০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘণ্টা পর
- শিশুদের জন্য: ডাক্তারের পরামর্শ মতো সাসপেনশন (Baby NAPA, Fevex ইত্যাদি)
বি.দ্র: কখনোই এন্টিবায়োটিক নিজে নিজে খাবেন না।
৩. পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খান
- দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি
- ডাবের পানি, ওআরএস, লেবু পানি, স্যুপ
- জ্বর শরীরকে ডিহাইড্রেট করে, তাই পানির ঘাটতি হলে সমস্যা বাড়ে
৪. বিশ্রাম নিন
- জ্বর হলে শরীর দুর্বল হয়
- ৮-৯ ঘণ্টা ঘুম এবং শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন
৫. হালকা সহজপাচ্য খাবার খান
- খিচুড়ি, নরম ভাত, ডাল, স্যুপ
- অতিরিক্ত ঝাল-মসলা এড়িয়ে চলুন
- জ্বরের সময় ক্ষুধা না থাকলেও অল্প করে কিছু খেতে হবে
৬. শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করুন
- কপালে, হাত-পায়ে ভেজা কাপড় রাখুন
- গরম পানি দিয়ে স্নান না করে শরীর মুছিয়ে দিন
- বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে থাকুন
জ্বরের সময় যেসব ওষুধ খাওয়া নিরাপদ
সমস্যা | ওষুধের নাম | ডোজ (প্রাপ্তবয়স্ক) |
---|---|---|
জ্বর, ব্যথা | প্যারাসিটামল | ৫০০–৬৫০ মি.গ্রা. প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা |
ঠান্ডা ও কাশি | সিটিজিন (Cetrizine), ডিকোফ | ১ ট্যাবলেট রাতে |
সর্দি বা নাক বন্ধ | নাসাল ড্রপ (Otrivin Baby/Adult) | ২–৩ বার নাকের ভেতরে |
গা ব্যথা বেশি হলে | আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) | প্যারাসিটামলের সাথে মাঝে মাঝে |
⚠️ কখনো নিজে নিজে এন্টিবায়োটিক (অ্যান্টিবায়োটিক) খাবেন না!
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
- জ্বর ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
- বারবার বমি বা ডায়রিয়া হলে
- রক্তচাপ কমে গেলে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে
- শিশুদের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উন্নতি না হলে
- চোখ লাল, র্যাশ, খিচুনি ইত্যাদি হলে
ঘরোয়া কিছু উপকারী প্রতিকার
✅ তুলসী পাতা, আদা ও লেবু দিয়ে হালকা চা
✅ গরম পানিতে গার্গল (গলা ব্যথা থাকলে)
✅ মধু ও লেবু মিশিয়ে শরবত
✅ ডাবের পানি ও স্যুপ বেশি করে খাওয়া
FAQs
জ্বর হলে দুধ খাওয়া উচিত কি?
উত্তর: না, জ্বরের সময় দুধ হজমে সমস্যা হতে পারে। হালকা খাবার বেশি ভালো।
প্যারাসিটামল কিভাবে খেতে হয়?
উত্তর: খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খেলে ভালো কাজ করে। দিনে ৩–৪ বারের বেশি নয়।
ভাইরাল জ্বর হলে কতদিন লাগে ভালো হতে?
উত্তর: সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়।
জ্বরের সময় ব্যবহৃত কিছু ওষুধের নাম (বাংলাদেশে সহজলভ্য)
✅ ১. জ্বর ও ব্যথার জন্য:
- Paracetamol (প্যারাসিটামল) — Napa, Napa Extra, Fevex, Ace
- Ibuprofen (আইবুপ্রোফেন) — Ibufen, Nurofen, Flexi, Seclofen
Paracetamol ও Ibuprofen একই সাথে না খাওয়াই ভালো, বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
✅ ২. ঠান্ডা ও নাক বন্ধ:
- Cetrizine (সিট্রিজিন) — Alergin, Cetrin, Histacin
- Fexofenadine — Fexo, Telfast
- Phenylephrine + Chlorpheniramine — Napa Extend, Sinamin, Flunil
✅ ৩. কাশি বা গলা ব্যথা:
- Dextromethorphan Syrup — Tusca, Benadryl Cough, Dexpan
- Ambroxol + Guaifenesin — Ambrox, Ascoril, Mucomix
- Azithromycin (শুধু ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে) — Azycin, Azisun (ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া না খাওয়া উচিত)
✅ ৪. সর্দি-কাশির নাক ড্রপ:
- Otrivin (Oxymetazoline) — শিশু ও বড়দের জন্য আলাদা ডোজ
- Nasocon, Nasivion
✅ ৫. ডায়রিয়া বা বমি থাকলে:
- ORS Saline — Orsaline-N, Pedialyte
- Domperidone — Dompy, Vomitil
- Loperamide — Imotil (ডাক্তারের পরামর্শে)
✅ ৬. ভিটামিন ও রোগ প্রতিরোধে:
- Vitamin C Tablets — Ceevit, Redoxon
- Zinc Supplements — Zincolak, Zincovit
⚠️ সতর্কতা:
- এন্টিবায়োটিক (যেমন: Azithromycin, Cefixime, Amoxicillin) কখনোই নিজে থেকে খাওয়া যাবে না।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধের ডোজ বয়স ও ওজন অনুযায়ী আলাদা হয়।
- গর্ভবতী বা ডায়াবেটিস/প্রেশার রোগীর জন্য বিশেষ সাবধানতা জরুরি।
Conclusion
জ্বর হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। যদি আপনি সঠিক ওষুধ, বিশ্রাম, পানি ও হালকা খাবার নিশ্চিত করেন, তবে ভাইরাল ফিভার ৩-৫ দিনের মধ্যে কমে যাবে। তবে উপসর্গ তীব্র হলে বা দীর্ঘস্থায়ী হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

My name is Shaon Kumar Sarker. I am professional Graphic Designer and Web Developer. I love to write so I made this website. I have been working in this profession for the past 4 years. I have been working with many foreign clients in these 4 years. You can contact me about work if you want. I always try to provide good quality service.